২৬ এপ্রিল, ২০২৪শুক্রবার

২৬ এপ্রিল, ২০২৪শুক্রবার

রাজ্যের চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য, আরও ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ডোজ টিকা এসে পৌঁছল এ রাজ্যে

বাংলায় নতুন করে এসে পৌঁছালো ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড টিকা। সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরাসরি দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় টিকা। সেগুলি বিমানবন্দর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় সোজা বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের এই টিকার মধ্যে কেন্দ্র পাঠিয়েছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ডোজ। এদিকে রাজ্য সিরামের কাছ থেকে সরাসরি কিনেছে 3 লক্ষ ৫০ হাজার ডোজ। যদিও মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যের চাহিদার থেকে অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ টিকা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে তিনি জানান পরিস্থিতির চাপে তারা আপাতত দ্বিতীয় ডোজ টিকাকরণের ওপর জোর দেবেন। অর্থাৎ এক্ষুনি 18 উর্দ্ধরা টিকা পাচ্ছে না।

 

রাজ্যের ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে সরকার অক্সিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করল সোমবার থেকে। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে কোথায় কতটা অক্সিজেন লাগছে তা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। প্রয়োজন মত সাধারন মানুষ যাতে সহজে অক্সিজেন পেয়ে যায় সেই বিষয়টিও দেখা হবে। এদিকে অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের অক্সিজেন কোটা বৃদ্ধি করা জরুরি বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন 
শুভেন্দুকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করে বিধানসভায় আক্রমণের নীতি বিজেপির

মুখ্য সচিব জানিয়েছেন রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ছাড়াও জেলা ও মহাকুমা স্তরের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বাংলার অক্সিজেন চাহিদা নিজে থেকেই মেটানো যায় সেইজন্য এই উদ্যোগ। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কোন‌ও বেসরকারি হাসপাতাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করার কথা ভাবলে তাদেরকেও সব রকমভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

 

করোনা সংক্রমণ যেভাবে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সেফ হোম তৈরি করার দিকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সোমবার বিভিন্ন ক্লাব এবং ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল রাজ্য প্রশাসনের। সেই বৈঠকের পর মুখ্য সচিব জানান কলকাতার বড়ো বড়ো পুজো কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তাদের ক্লাবগুলোকে এই সময় সেফ হোম হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সেইসঙ্গে এই দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৩ মে ঈদের দিন করোনা বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনরকম শিথিলতা দেখানো হবে না। আগের বারের মতো এবারেও ঈদ উপলক্ষে বড়োসড়ো জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে সঠিক দূরত্ব বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ জন এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের ধর্মগুরুরা মেনে নিয়েছেন।

 

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

7,808FansLike
20FollowersFollow

Latest Articles

error: Content is protected !!