অলিম্পিকে কত অদ্ভুত কান্ড ঘটে। কখনও ক্রীড়াবিদদের অভাবনীয় ফলাফল সকলকে চমকে দেয়, আবার কখনও তাদের অবাক করা ব্যর্থতা মানুষকে হতচকিত করে দেয়। কিন্তু সাফল্য উদযাপন করতে গিয়ে কেউ যে খবরের শিরোনামে আসতে পারেন তা এই অস্ট্রেলীয় কোচকে না দেখলে বোধহয় ভাবা সম্ভব ছিল না।
মহিলাদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে সোনা জেতেন অস্ট্রেলিয়ার ২০ বছরের সাঁতারু আরিয়ার্নে তিতমাস। নতুন গেম রেকর্ড গড়ে তিনি এই সাফল্য পান। কিন্তু এরপরই নজরে আসে অস্ট্রেলিয়া সাঁতার দলের কোচের উচ্ছ্বাসের বিষয়টি।
আরও পড়ুন
যে ক’টি ডিম ফাটলো সবকটির ভিতরে দুটি কুসুম, বিরল ঘটনার সম্মুখীন লিভারপুলের ভদ্রমহিলা

ছাত্রী সোনার পদক জেতায় তিনি এমনভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন যা দেখলে মনে হবে এক্ষুনি বুঝি তেড়ে গিয়ে কাউকে মেরে দেবেন। প্রবল চিৎকারের সঙ্গে হাত-পা ছুঁড়ে এক তোলপাড় ফেলে দেন এই কোচেদের জন্য নির্ধারিত জায়গায়। এমনকি একসময় মনে করা হয়েছিল তিনি সামনের রেলিংটা বুঝি উপরে তুলে নেবেন। তার এই অদ্ভুত উচ্ছ্বাসের ধরন দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট জায়গার দায়িত্বরত জাপানি স্বেচ্ছাসেবক। সেই তরুণীটি প্রথমে ভয় পেয়ে বেশ কিছুটা সরে যান। কিন্তু অস্ট্রেলীয় কোচ তার উচ্ছ্বাস কোনমতেই না থামালে তরুণীটি কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে এসে তাকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।
অস্ট্রেলীয় কোচের উচ্ছ্বাসের ভিডিও এবং ছবি ইতিমধ্যেই সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ গোটা বিষয়টি নিয়ে মজা করছেন। আবার কেউ কেউ তাকে রীতিমত তুলোধোনা করে ছাড়ছেন। অনেকেই জানিয়েছেন এরকম ভয়ঙ্কর পদ্ধতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ তারা জীবনে দেখেননি।
আরও পড়ুন
প্রচুর অর্থ ব্যায়ে তৈরি অলিম্পিক ভিলেজের শেষ পরিণতি কি? জানলে অবাক হবেন আপনিও

তবে অনন্য প্রতিভাধর আরিয়ার্নে তিতমাসের জন্যে হয়ত আরও বেশ কয়েকবার এই ধরনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যাবে এই অস্ট্রেলীয় কোচকে। কারণ সাঁতারের আরও বেশ কয়েকটি বিভাগে এই অস্ট্রেলীয় তরুণী পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার।