করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও হু হু করে সংক্রমনের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার আবারও এক সপ্তাহের জন্য সার্বিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল। যদিও এই পর্যায়ে যাবতীয় কল-কারখানা খোলা থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দেশে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানালেন প্রয়োজনে তার রাজ্যে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হবে। সব মিলিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে করোনা পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের মহাসচিব ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন আগামী সোমবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল থেকে দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে সরকার। উল্লেখ্য বাংলাদেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ রেকর্ড ছুঁয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সাড়ে ছ’হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন সে দেশে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেই হাসিনা সরকার ঠিক করেছে কল-কারখানা খোলা রেখেই লকডাউন ঘোষণা করা হবে। তবে কল-কারখানা গুলিতে একসঙ্গে বেশি মানুষ কাজ করতে পারবে না। শিফট ভাগ করে করে কর্মীদের কাজ করাতে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যাবতীয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আরও পড়ুন
WB Election 2021: রায়দিঘিতে দেবশ্রীকে নিশানা করে জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা মমতার
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পরিষ্কার জানিয়েছেন সে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে তাতে তারা রাজ্যব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। উল্লেখ্য গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৪৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি অতি উদ্বেগজনক।
এদিকে বীরভূম জেলার তপন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কু করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। নির্বাচনের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে তিনি অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন। এই মুহূর্তে তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলি যদি নিজেদের কর্মকান্ডের ওপর লাগাম না পড়ায় তবে পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।