মাটির নীচে কতোই না অমূল্য সম্পদের ভাণ্ডার রয়েছে। খনিজ পদার্থের পাশাপাশি মাটির তলায় চাপা রয়েছে বহু বহু প্রাচীন ইতিহাসও। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রায়শই খবর আসে, মাটি খুঁড়তে গিয়ে প্রাচীন বহুমূল্য জিনিসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এমন নিদর্শন পাওয়া গেলো এ রাজ্যেও। বীরভূম জেলায় রাজনগর অঞ্চলে ড্রেনের কাজ চলাকালীন মাটি খুঁড়তে গিয়ে শ্রমিকরা একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বহু মানুষ ভিড় জমান রাজনগরের ওই জায়গায়। গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার আশায় সুড়ঙ্গের চারপাশে মাটিও খুড়তে শুরু করে উপস্থিত স্থানীয় মানুষেরা।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপরই পুলিশের ভয়ে যারা গুপ্তধনের আশায় সুড়ঙ্গের খনন চালাচ্ছিলেন তারা চম্পট দেয়। আপাতত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার রাতেই টানেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও কৌতূহল অব্যাহত। এখনও তারা মাটির নীচ থেকে অমূল্য সম্পদ খুঁজে বের করার আশা দেখছে।
আরও পড়ুন
উল্কাপাতে ডাইনোসরেরা বিলুপ্ত হলেও তার প্রভাব থেকে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিল হাঙরেরা, জানা গেল গবেষণায়

গত মঙ্গলবার সুড়ঙ্গটির সন্ধান পাওয়ার পর কিছু মানুষ গুপ্তধন এবং সুড়ঙ্গের গুজব যাতে না ছড়ায় তার চেষ্টা করেন। স্থানীয় এক পসঞ্চায়েত সদস্য এবং ড্রেনের কাজে যুক্ত শ্রমিকরা দাবি করে এটা আসলে সুড়ঙ্গ নয়, ড্রিল করার ফলে একটা বড়ো গর্ত তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি সাধারণ মানুষ এটাকে সুড়ঙ্গ ভেবে ভুল করছেন।
পাশাপাশি এমনকিছু গুজওব ছড়ায় যে নিকটবর্তী দরগার পীরবাবা এই সুড়ঙ্গ পথে যাতায়াত করতেন। যে জায়গায় সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে তার পাশেই একটি অস্থায়ী মাজার রয়েছে। এছাড়াও গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহল বজায় থাকার বড়ো কারণ পাশেই অবস্থিত রাজনগরের রাজবাড়ি। তাই অনেকে মনে করছে এই সুড়ঙ্গ রাজবাড়ির কোনো গোপন আস্তানায় যাওয়ার পথ। আপাতত স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ন্ত্রণ করছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া চাপানউতরকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ছড়ায় সেই ব্যাপারেও নজর রাখছেন তারা।