দেশের রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনে এক গোপন সুড়ঙ্গ, আর সেই সুড়ঙ্গেই গত ৪০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন বাবা আর ছেলে। আর গত প্রায় ৪০ বছর ধরে বাবা-ছেলের এই গোপন আস্তানার সন্ধান পাননি কেউই! এমনকী এই ঘটনা নজরে পড়েনি দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত বাসভবনের সিউকিরিটিদেরও। না কোনো হিন্দি ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার কোনো ঘটনা নয় এটি বরং নতুন দিল্লিতে অবস্থিত দেশের রাষ্ট্রপতি ভবনেই ঘটেছে এমন এক অদ্ভুত কাণ্ড।
এই ঘটনা সামনে আসে গত শনিবার রাতে। ওই রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছন দিকে টহলরত একটি পিসিআর ভ্যানের এক পুলিশকর্মীর নজরে পড়ে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশকর্মী বাকি সিকিউরিটি গার্ডদের সকলকে সতর্ক করে দেন। জঙ্গি হানার আশঙ্কায় রাষ্ট্রপতি ভবন জুড়ে শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। তল্লাশি চালিয়ে একটি মাজারের খোঁজ পাওয়া যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনের জঙ্গলে। আর তারপরই আবিষ্কৃত হয় সকলের চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো তথ্য।
আরও পড়ুন
রাত বাড়লেই শোনা যায় অস্বাভাবিক শব্দ আতঙ্কিত দুর্গাপুরের এই হস্টেলের ছাত্রীরা

যায় পাঁচিল টপকে যারা ঢুকেছিল তারা কোনো সন্ত্রাসবাদী নয়, বরং গাজি নুরুল ইসলাম আর মহম্মদ নুর নামে দুই ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা আর ছেলে। ওই মাজারের পেছনেই খোঁজ মেলে এক রহস্যজনক সুড়ঙ্গের। ওই সুড়ঙ্গেই অনুমতিহীনভাবে গত ৪০ বছর ধরে থাকছিলেন নুরুল আর নুর। জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল দাবি করেছেন যে রাষ্ট্রপতি ভবনের ওই সুড়ঙ্গে তিনি আর তাঁর ছেলে গত ৪০ বছর ধরে থাকছিলেন। আর রাষ্ট্রপতি ভবনের ওই মাজারে যে প্রাণামী পড়ত তাতেই দিনগুজরান হত তাদের।
পুলিশের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল আরও দাবি করেন যে, যাতায়াতের জন্য তারা রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছন দিকের রাস্তার পাঁচিল টপকেই বাইরে যেতেন। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে তাদের জানা ছিল না যে রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনে এমন একটি মাজার রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সন্তুষ্ট হওয়ায় দুজনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।