ঠাকুরদার শেষ যাত্রাতেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই উত্তর অধিকারীর মধ্যে দূরত্ব নজর এড়ালো না। প্রিন্স চার্লসের বড়ো ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম এবং ছোটো ছেলে প্রিন্স হ্যারি দুজনেই প্রিন্স ফিলিপের রাজকীয় শেষকৃত্যে যথেষ্ট দূরত্ব রেখে অংশগ্রহণ করেন। প্রিন্স হ্যারি যাবতীয় রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরই ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দূরত্বের সূত্রপাত ঘটে।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রা শুরু হয়েছিল উইন্ডসর ক্যাসেল থেকে মাত্র ৮ মিনিট দূরত্বের সেন্ট জর্জ চ্যাপেল পর্যন্ত। এই গোটা রাস্তায় ঠাকুরদার কফিনের পিছন পিছন হেঁটে যান প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি। যদিও দুজনকে কখনোই পাশাপাশি দেখা যায়নি। তাদের দুজনের মধ্যে যতি চিহ্নের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন তুতো ভাই প্রিন্স পিটার ফিলিপ।
আরও পড়ুন
WB Election 2021: অডিও টেপ কান্ডে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতিকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু
উল্লেখ্য মাস কয়েক আগে হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল মার্কিন টক শো সঞ্চালক ওপরা উইনফ্রের সঙ্গে কথোপকথনের সময় জানিয়েছিলেন তারা রাজবাড়ির অভ্যন্তরে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। প্রবল যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মূলত মেগানকে। এমনকি তাদের আগত সন্তানের গায়ের রঙ কী হবে তা নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছিল কৃষ্ণাঙ্গ মেগানকে। এরপরই রাজ পরিবারের সঙ্গে হ্যারি এবং তার স্ত্রীর দূরত্ব আরও অনেকটা বেড়ে যায়।
তবে দীর্ঘ ৭৩ বছরের সঙ্গী স্বামীর শেষ যাত্রায় উল্লেখযোগ্য নিদর্শন তৈরি করলেন মহারানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই শোকের মুহূর্তেও পরিবারের সবার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তিনি বসে ছিলেন। এমনিতেই করোনার কারণে প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের মাত্র ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের যে রাজকীয় ভল্টে প্রিন্স ফিলিপের সাময়িক শেষ শয্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানেই একসময় ছিলেন তার মা প্রিন্সেস অ্যান্ড্রু অফ গ্রিস।