রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী দ্বিতীয় প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রায় তৈরি হল ভারতীয় যোগ। এদেশের টাটা মোটরসের মালিকানাধীন ব্রিটিশ গাড়ি কারখানা ল্যান্ড রোভারের তৈরি গাড়িতে করে প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রার কফিন বহন করা হবে। বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান হবে। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ থেকে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের দূরত্ব মাত্র ৮ মিনিট। এই পথটুকুতে রাণীর স্বামীর কফিনবাহী শাকটের পিছন পিছন হাঁটবে গোটা রাজ পরিবার। তবে করোনার জন্য শেষকৃত্যে উপস্থিতির সংখ্যায় লাগাম টানা হয়েছে।
ব্রিটিশ রাজপরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে অন্যান্য সময় রাজপরিবারের বয়জ্যেষ্ঠ সদস্যদের শেষকৃত্যে প্রায় ৮০০ জন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের উপস্থিতি থাকলেও এবার করোনার কারণে সেই সংখ্যায় ব্যাপক লাগাম টানা হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন মাত্র ৩০ জন। এই ৩০ জনই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য। সূত্রের খবর প্রিন্স ফিলিপ এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের চার সন্তান এবং তাদের পরিবারই একমাত্র শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবে। সেন্ট জর্জ পর্যন্ত ওই রাস্তায় পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হেঁটে যাবেন। তবে রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে শেষকৃত্যের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন রানীর বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস। একটি লিখিত বিবৃতিতে প্রিন্স চার্লস তার ‘প্রিয় পাপা’র প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রিন্স ফিলিপকে একজন আদর্শ বাবা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আরও পড়ুন
WB Election 2021: শীতলকুচি কাণ্ডে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার দায়ে দিলীপের ইস্তফা দাবি অভিষেকের
রাজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছিল প্রিন্স চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি শেষ পর্যন্ত ঠাকুরদার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন কিনা। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই আমেরিকা থেকে লন্ডনে আসার বিমানের চেপে বসেছে প্রিন্স হ্যারি। তবে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মেগান মার্কেল শারীরিক কারণে শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তিনি আমেরিকার বাড়িতেই আছেন বলে খবর। তবে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে রাজ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু এবং ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় শোকের কথা মাথায় রেখে লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশন বৈশাখী অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা জানিয়েছে। পাঞ্জাবি নববর্ষ বৈশাখী ইংল্যান্ডে ধুমধাম করে পালন করা হয়। কিন্তু সে দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় শোক চলায় বৈশাখী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে বলে ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে।