সংবাদমাধ্যমে প্রায়শই শিশু অপহরণের ঘটানার খবর কমবেশি কানে আসে আমাদের। ২০২০ সালের করোনা- আতঙ্কের সময়ও গড়ে প্রতিদিন ১২ জন শিশু নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। দিল্লী পুলিশের তরফ থেকে প্রকাশ করা এই সমীক্ষার রিপোর্ট সত্যিই ভয়াবহ। অপরাধটির ভয়াবয়তা, পরিবারের ওপর বিশেষ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুর বাবা-মায়ের মানসিক অবস্থা কী হতে পারে তার কিছুটা অনুমান আমরা পাই টিভির পর্দায় বিভিন্ন ধারাবাহিক কিংবা সিনেমায়। তবে সম্প্রতি লুধিয়ানার ভামিয়ান কুলান গ্রামে ঘটে যাওয়া এমন এক ঘটনা সামনে আসায় বিভ্রান্ত হয়েছে মানুষ।
শুধুমাত্র স্কুল ছুটির পর স্কুলের বাইরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ভুয়ো অপহরণের গল্প সাজিয়ে পরিবারের লোকজন সহ পুলিশকে বিপাকে ফেলেছে যমজ বোন। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে লুধিয়ানার ভমিনানা কালানের একটি অঞ্চলে। ওই যমজ বোন শুধুমাত্র বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য হুলুস্থুল কান্ড বাধিয়েছে গোটা এলাকায়। সকালে স্কুলের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিকেলে সময়মতো না ফেরার চিন্তিন হন ওই যমজের বাবা- মা। ফলত তাঁরা মেয়ের এক প্রতিবেশী বান্ধবীর কাছে খবর নিতে যান।
আরও পড়ুন
অবিকল ড্রাগনের মতো দেখতে উড়ন্ত সরীসৃপের সন্ধান পেলেন জীবাশ্মবিদেরা
ওই যমজ বোনেরা আগে থেকেই অনুমান করেছিলো তাদের বাবা- মা খোঁজ নিতে আসবেন এই বান্ধবীর কাছে। তাই আগে থেকেই তারা বান্ধবীকে শিখিয়ে যে তাদের বাবা-মা এলে ৫ জন ব্যক্তি মিলে তাদের কিডন্যাপ করেছে এমন একটা গল্প শোনাতে। কিডন্যাপ হওয়ার খবর পেতেই অভিভাবকরা সরাসরি ঘটনাটির কথা পুলিশকে জানায় বিষয়টি। পরে পুলিশ ওই বান্ধবীকে নানাভাবে প্রশ্ন করে বুঝতে পারে এটি সাজানো ঘটনা। জানা যায় আসলে ওই যমজ বোন হ্যাপি কলোনিতে এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গেছে। ওই যমজ বোন আগেরদিন হোয়াটসআ্যপ গ্র্যপে এমন পরিকল্পনা করে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ হ্যাপি কলোনির ওই বান্ধবীর বাড়িতে পোঁছে ওই যজম বোনকে উদ্ধার করেতাদের বাবা- মায়ের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়।

স্থানীয় থানার ইন্সপেক্টর খুশওয়ান্ত সিং জানান তদন্ত চলাকালীন হোয়াটসআ্যপ গ্রুপের মেসেজ দেখে হ্যাপি কলোনির ওই লোকেশন খুঁজে পাওয়া গেছে। তাঁর মতে লকডাউন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের হাতে অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন চলে আসায় তারা এই ধরণের কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে। অবিলম্বে বাচ্চাদের ইন্টারনেট কার্যকলাপের ওপর নজর দেওয়া উচিৎ অভিভাবকদের এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।