এই বুধবার সর্বোচ্চ আদালত মহারাষ্ট্রে মারাঠাদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের আইন বাতিল করে দেয়। জানিয়ে দেয় সে রাজ্যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই মারাঠা জাতির মানুষদের জন্য আলাদা যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা সংবিধানের মূল নীতির পরিপন্থী। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন উদ্ধব ঠাকরে। তার দাবি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
উল্লেখ্য হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্রে ২০১৮ সালে মারাঠা জাতির মানুষদের জন্য সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং চাকরির ক্ষেত্রে পৃথক সংরক্ষণের আইন প্রণয়ন করে রাজ্য সরকার। অভিযোগ উঠেছিল সে রাজ্যে সংরক্ষণের কোটা ৫০ শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে বুধবার সর্বোচ্চ আদালত এই আইন বাতিল করে দেয়। জানিয়ে দেয় কেবলমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ব্যতিক্রম ক্ষেত্র হিসেবে এই আইন প্রণয়ন করতে পারবে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সূত্র ধরেই বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি পরিকল্পিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, “মারাঠা জাতির উন্নয়নের জন্য আশা করব আপনি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।” এর আগে সুপ্রিম কোর্ট মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের আইন বাতিল করে দিলে উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে সর্বোচ্চ আদালত মারাঠা জাতির উন্নয়নের জন্য আনা এই আইন বাতিল করে দিল। এই আইনের মাধ্যমে মারাঠারা সামনের পথে এগিয়ে যেতে পারত।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে পরিকল্পিতভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। কারণ তিনি যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না করতেন তবে বিজেপি তার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে মারাঠা বিরোধী হিসেবে প্রচার করত। পাল্টা চাল দেওয়ার ফলে এবার তারা বিজেপিকে মারাঠা বিরোধী হিসেবে রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারবে।