আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে মহেশতলার পালান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট। প্রথমে একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে, যা দ্রুত আরেকটি কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আড়াই ঘণ্টা পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ দমকলকে অগ্নিকান্ডের খবর দেওয়ার এক ঘন্টা পর তারা ঘটনাস্থলে এসেছে, ততক্ষণে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কলকাতা লাগোয়া পুর এলাকা মহেশতলার ব্যানার্জি পাড়া অঞ্চলে অবস্থিত পালান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে কমবেশি ১৫০ টি কারখানা আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে বাকি কারখানাগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে দমকলের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন
বিখ্যাত বাবার বোলিং অ্যাকশন নকল করে আলোচনায় উঠে এলো ছেলে

প্রথম যে রাসায়নিক কারখানাটিতে আগুন লাগে সেখানে স্যানিটাইজার তৈরি হত বলে খবর। এর ফলে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত গোটা কারখানা আগুনের গ্রাসে চলে যায়। এই সময় একটি রাসায়নিক বোঝাই ড্রাম আগুনের তাপে ফেটে যায় বলে জানা গিয়েছে। এরপরই আগুন পাশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। সেটিও দ্রুত দাও দাও করে জ্বলতে শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকার আকাশ ঢেকে গিয়েছে। এই দুই কারখানায় রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকায় জলের পাশাপাশি আগুন নেভানোর জন্য দমকল বিভাগ ফোম ব্যবহার করছে। কিন্তু এলাকায় একটিও ঠিকঠাক পুকুর না থাকায় জলের যথেষ্ট অভাব ঘটছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। তারা বারবার এখানকার কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বললেও তারা সেই কথায় কান দেননি। আজকের পরিণতি সেই কারণেই বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে স্থানীয় সুত্রে খবর ওই কারখানা দু’টিতে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় বেশ কিছু শ্রমিক ভিতরে কাজ করছিলেন। তাই আগুনের কারণে কেউ ভিতরে আটকে পড়েছেন কিনা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।