যুদ্ধক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত হলেন মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের দীর্ঘ তিন দশকের রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস ডেবি ইতনো। সেই দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই খবর মঙ্গলবার সন্ধেয় ঘোষণা করা হয়। যদিও গোটা ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় আছে।
চাদ সেনাবাহিনী সূত্রের খবর রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস ডেবি যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শনের জন্য মঙ্গলবার সকালে চাদের উত্তরাঞ্চলে যান। তিনি উপস্থিত থাকা কালীন বিদ্রোহীদের একটি বড়ো গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় সেনাবাহিনীর। সেই সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ঠিক কি কারণে চাদের রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের উত্তেজনা প্রবণ অঞ্চলে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন? উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে ষষ্ঠ বারের জন্য ক্ষমতায় বসেন ইদ্রিস ডেবি ইতনো।
আরও পড়ুন
এবার ফিরাদ হাকিমের ভিডিও টেপ ফাঁস বিজেপির, উঠল অশ্লীল শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ
চাদের এই রাষ্ট্রপতি নিজেও একজন বিদ্রোহী ছিলেন। ১৯৯০ সালে সে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হিসনে হিব্রে’কে লড়াইয়ে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন। উল্লেখ্য হিসনে হিব্রে পরবর্তীকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত হন। মধ্য আফ্রিকা অঞ্চলে চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীগুলির প্রসার আটকাতে ইদ্রিস ডেবি ইতনো ফ্রান্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফ্রন্ট গঠন করে লড়াই চালিয়ে আসছেন।
কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চাদের এই প্রেসিডেন্ট উজ্জ্বল মুখ হলেও তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ যথেষ্ট পুরানো। এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তার প্রধান বিরোধীরা প্রত্যেকে ভোট বয়কট করেন। উল্লেখ্য তার নিজের ৩৭ বছর বয়সী ছেলে মাহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো চাদের সেনা প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাবার মৃত্যুর সংবাদ সর্বপ্রথম জনসমক্ষে ঘোষণা করেন। আপাতত রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর ফলে মধ্য আফ্রিকার এই দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মাহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো’র নেতৃত্বে গঠিত একটি কাউন্সিলের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও দেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা করে মঙ্গলবার রাত থেকেই চাদে নাইট কার্ফু জারি করেছে সেনাবাহিনী।