প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মানুষ কতটা চরমসীমায় পৌঁছতে পারে তার নিদর্শন পাওয়া গেলো উড়িষ্যার জাজপুর জেলায়। ৪৫ বছর বয়সী এক আদিবাসী ব্যক্তি সাপের ছোবল খেয়ে উল্টে সাপটিকেই কামড়ে মেরে ফেললেন। গত বুধবার রাতে দানাগাড়ি ব্লকের অধীনে সালিজাঙ্গা পঞ্চায়েতের গাম্ভারিপতিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোর বাদরা চাষের কাজ সেরে ধানের ক্ষেত থেকে ফিরছিলেন। তখনই একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। প্রতিশোধ নিতে, বাদরা সাপটি ধরে কামড়ে মেরে ফেলে।
কিশোর এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলে, “গতকাল রাতে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় কিছু একটা আমার পায়ে কামড় দেয়। আমি টর্চের আলো জেলে দেখি এটি বিষধর করেত সাপ। প্রতিশোধ নিতে আমি সাপটি হাতে ধরে ফেলে বার বার কামড়ে ওই জায়গাতেই মেরে ফেলি।”এরপরই কিশোর মৃত সাপটি নিয়ে তার গ্রামে ফিরে স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়।
আরও পড়ুন
রাজবাড়ির পাশেই পাওয়া গেলো গোপন সুড়ঙ্গ, গুপ্তধনের আশায় চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামবাসীদের মধ্যে

দ্রুত পুরো গ্রামে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। বদরা নিজের বন্ধু বান্ধবদের সাপটি দেখিয়ে নিজের বীরত্ব প্রমাণ করে। কিছু মানুষ কিশোরকে পরামর্শ দেয় পার্শ্ববর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কিশোর রাজী না হয়ে ওই রাতেই স্থানীয় এক ওঝার কাছে যায়। সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কিশোরের কোনো সমস্যা হয়নি। প্রসঙ্গত করেত কিংবা ইন্ডিয়ান ক্রেট ভারতের পাঁচটি সবথেকে বিষধর সাপ। কিশোর আরও জানিয়েছে যে, “বিষাক্ত করেত সাপকে কামড়েও আমার কিছু অসুবিধা হয়নি। আমি গ্রামীন ওঝার কাছে গিয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছি।”
প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে সাপকে কামড়ানোর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৯ এর জুলাই মাসে গুজারাটের মহিষনগর জেলার প্রভাত গালা বারিয়া নামে এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ সাপের কামড় খেয়ে উল্টে সাপকে কামড়াতে গিয়ে প্রাণ হারান। এই ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাটের বদদরা জেলা থেকে ১২০ কিমি দূরে আজন্মা গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রামের প্ৰধান জানিয়েছিলেন যে, “প্রভাত এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন যেখানে মাঠ থেকে ভুট্টা ট্রাকে বোঝাই হচ্ছিলো। সেখানে হঠাৎ একটি সাপের আবির্ভাব হওয়ায় সবাই ছুটে পালায় কিন্তু প্রভাত সাপটি ধরে ফেলেন। সাপটি তার মুখে, হাতে কামড় দিতে থাকে। তবে প্রভাতও উল্টে সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলে।”
আরও পড়ুন
উল্কাপাতে ডাইনোসরেরা বিলুপ্ত হলেও তার প্রভাব থেকে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিল হাঙরেরা, জানা গেল গবেষণায়

উত্তরপ্রদেশের রাজ কুমার নামে এক ব্যক্তিও সাপের কামড় খেয়ে দাঁত দিয়ে সাপটিকে কেটে টুকরো টুকরো করে। এই ঘটনায় রাজ কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এ ব্যাপারে রাজের বাবা বাবু রাম জানিয়েছিলেন যে, “আমার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় ছিলো। একটি সাপ আমাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাকে ছোবল দেয়। আমার ছেলেও উল্টে সাপটিকে কামড়ে টুকরো টুকরো করে দেয়।”