শুধু যে এই পোড়া দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষকদের সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করার অভিযোগ ওঠে তা কিন্তু নয়। বরং উচ্চশিক্ষার পীঠস্থান হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও এইরকম ঘটনা ঘটে। সেখানকার জনপ্রিয় অধ্যাপক কর্নেল ওয়েস্টের চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে।
কর্নেল ওয়েস্ট হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রো-আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক ছিলেন। ৬৭ বছর বয়সী এই অধ্যাপক গত ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরকে পাঠানো তার ইস্তফা পত্রটি তিনি পরে টুইটারে পোস্ট করেন। ইতিমধ্যেই তার সেই ইস্তফাপত্র ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন
স্ত্রীকে শিক্ষা দিতে গিয়ে আস্ত বাড়ি বিক্রি করলেন স্বামী
অধ্যাপক কর্নেল ওয়েস্ট এর আগে ইয়েল, প্রিন্সটনের মত বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অধ্যাপনা করেছেন। এমনকি হার্ভার্ডেও এর আগে একবার বেশ কিছু বছর অধ্যাপনা করেন। পুনরায় ২০১৭ সালে আবার তিনি হাভার্ডে ফিরে আসেন। তিনি ইস্তফাপত্রে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আফ্রো-আমেরিকান স্টাডিজের ছাত্রদের নিচু চোখে দেখে। এমনকি এই বিভাগের সঙ্গে জড়িত অধ্যাপকদের সম্মান জানানো হয় না। সেই সঙ্গে দাবি করেন তার যতটা পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল তা পরিকল্পনা করেই করা হয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় চেষ্টা করে গিয়েছেন তার সবচেয়ে কম কতটা পদোন্নতি ঘটানো যায়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এরকম গুরুতর অভিযোগ ওঠায় আমেরিকার শিক্ষা জগতে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ফের সেদেশে বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষাক্ষেত্রেও এখনও বর্ণবৈষম্য সমান হারে বজায় আছে। দ্রুত যদি এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না হয় ভবিষ্যতে অনেক বড়ো বিপদ অপেক্ষা করছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।