শেষ দু’দফার ভোটের আগে শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজে জানানো হয় তারা ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন প্রদান করবে। এরপরই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। বিজেপির এই প্রতিশ্রুতি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে তাদের দিকে। কারণ নেট নাগরিকদের বেশিরভাগ আংশ প্রশ্ন তুলেছেন তবে কি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেবে না?
অনেকেই গত বছরের শেষের দিকে বিহার নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। সেখানেও ভোট প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক বিহারবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বিহার বিজেপির ইশতেহার এই কথা উল্লেখ করা হয়। সেই সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সমালোচনা করেছিল বিজেপি কেবলমাত্র তাদের অধীনস্থ রাজ্যগুলিতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে আসলে দেশে বৈষম্য তৈরী করার চেষ্টা করছে। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলি প্রশ্ন তুলেছিল তারা কেন বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর একাংশ। অনেকেই আবার বলছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় আছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বাংলার ভোটে তারা জয়ী হল কি হল না তার উপর ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি কেন নির্ভর করবে।
অনেকেই অবশ্য এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তাদের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের কথা জানানোর পরই বিজেপি এই ঘোষণা করেছে। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে ‘নকল-নবিশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখাদেখি বিজেপিও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হল।
তবে বিজেপির এই ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে মূলত বৈষম্যের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের মত অত্যাবশ্যকীয় জিনিস কি করে রাজনীতির হাতিয়ার হতে পারে তা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছেন।