যাবতীয় সম্ভাবনার ইতি। শেষ দু’দফার ভোট নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট মেনে ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সন্ধ্যেতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকে বসেছিল। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশন জানিয়েছে নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করানোটাই তাদের মূল লক্ষ্য। সেইজন্যে তারা দফা কমাচ্ছে না। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে শেষ দুই দফার ভোট প্রচারে প্রার্থীদের কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমনের কথা তুলে ধরে শেষ দুই দফার ভোট একদিনে করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট করোনা পরিস্থিতিতে ভোট পরিচালনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলে। বলা যেতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রীতিমত ধমক খেতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। এরপরই কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শেষ দুই দফার ভোট এক দফায় করা হবে কিনা এবং প্রচার পর্ব নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়েই এই বৈঠক। দেখা যাচ্ছে বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও ভোটের দফা কমালো না তারা।
আরও পড়ুন
ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে শেষ দুই দফার ভোটে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। করোনা বিধি ভঙ্গ হলে প্রার্থীদের শোকজ করা হবে বলেও কমিশন জানিয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব বুঝে দেশের মহামারী আইন ও জাতীয় বিপর্যয় আইনের অধীন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শেষ দু’দফার ভোটের আগে কমিশনের এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কলকাতার ভোট নিয়েও নির্বাচন কমিশন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ জারি করেছে। শেষ দুই দফায় কলকাতার ১১ টি কেন্দ্রে ভোট হবে। তার আগে এখানকার প্রতিটি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি রাজ্যের মধ্যে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ হওয়ায় এখানে ভোটের প্রচার ও নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হবে বলেও জানিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
রাজনৈতিক মহলের মতে রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় ভোট হয়ে গিয়েছে সেখানে করোনার সংক্রমণ প্রায় 15 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ দুই দফার ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নির্বাচন কমিশন যে কড়াকড়ি আরোপ করছে 4 যদি আগে করা হতো তাহলেও করোনা পরিস্থিতি হয়তো এতটা বেড়ে যেত না এই অবস্থায় তাদের এই নতুন পদক্ষেপ আদৌ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।