মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ৫ মে। তারপরের দিনই বিধানসভায় বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। এবারে বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখার্জীকে। এই বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি বয়সী বিধায়ক হলেন সুব্রতবাবু। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভার চিরাচরিত রীতি মেনে এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাকে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এই মুহূর্তে তার হাত ধরে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মিলিয়ে রাজ্যের ২৯১ জন বিধায়ক শপথ নেবেন। খরদার জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহা যেহেতু ভোটের পরে মারা যান তাই ওই কেন্দ্রে আগামী দিনে উপর্নির্বাচন হবে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ভোট আগামী ১৬ মে। তাই এই দুই কেন্দ্রে জয়ী প্রার্থীরা বিধানসভার স্পিকারের হাত ধরেই শপথ নেবেন বলে খবর।
বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্যকে প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার হাত ধরে সমস্ত বিধায়করা শপথ নেন। তারপর বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন করা হয়। এই রীতি স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় চলে আসছে। তৃণমূল সূত্রের খবর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সম্ভবত আবার স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
করোনা প্রাণ কেড়ে নিল উত্তরপ্রদেশের কৃষি বলয়ের নেতা অজিত সিং এর
সুব্রত মুখার্জি প্রোটেম স্পিকার হওয়ায় আপত্তি জানায়নি কেউ। কারণ তার সঙ্গে বিরোধীপক্ষেরও সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের মত বিজেপি নেতারা তার হাত ধরে শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা অস্বস্তিতে ভুগবে না বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির সেরকম বেশি বয়স্ক কোনও নেতা নির্বাচিত না হওয়ায় প্রোটেম স্পিকার পদ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়নি।
এদিকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর সুব্রত মুখার্জীকে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হলেও রাজ্যসভার নির্বাচনের সময় তাকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবর্তে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে অন্য কাউকে জিতিয়ে আনতে পারেন তিনি।