মাত্র তিন বছরের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রায় ৬,৭৭২ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ওই সংস্থার দাবী, ২০২২ এর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ বাতিল করার উদ্দেশ্যেই তাদের প্রয়াস।
অলাভজনক ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভারতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংঘের(আইপিসিএ) ডিরেক্টর আশীষ জৈন এই ব্যাপারে জানিয়েছেন যে, “উত্তরাখন্ড পরিবেশগতভাবে খুবই সংবেদনশীল রাজ্য। কিন্তু ইদানীং নগরায়নের পরিমান এবং পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পদার্থ জনিত নানা অসুবিধা হচ্ছিলো। ফলত আমরা ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এমন পরিকল্পনা নিয়েছি।”
আরও পড়ুন
করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত, মুক্তি পেতে কী করলেন এই কমেডিয়ান দেখে নিন

পুরো উত্তরাখন্ড রাজ্যের মধ্যে দেরাদুনে সবথেকে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩২৭.৯ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় দেরদুনে যার মাত্রা প্রায় প্রতিদিন পিছু ৫৮৪.০৫১ টনে পৌঁছনোর আশঙ্কা করছে এনজিও সংস্থাটি। আশীষ জৈন আরও জানান,”দেরদুনে প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় আমরা প্লাস্টিক সংগ্রহ, পৃথকীকরণ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পেরেছি। ২০১৮ থেকে প্রায় ৬,৭৭২ মিলিয়ন টন। প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ যার মধ্যে প্রায় ৩,৫৫৫ মিলিয়ন টন শুধু ২০২০ তে যা কিনা আমরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে সক্ষম হয়েছি।”
প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার এই মডেল লক্ষ্য করে দেখা গেছে যে বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রক শিল্পক্ষেত্রগুলো ভীষণ অসংগঠিত এবং সমস্ত কোম্পানির অংশিদারদের এক হওয়া প্রয়োজন এই কাজে। আইপিসিএ স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সাফাই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়। ফলত সাফাই কর্মীরা বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করার সময় প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পৃথকভাবে সংগ্রহ করতে পারে এবং এই কারণে এতো দ্রুত রিসাইকেল প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিগত ২০ বছর ধরে আইপিসিএ ৩০ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণের নানা কর্মসূচি নিয়ে আসছে।