যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি চাইলে অন্যান্য দেশেও ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারে। এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছে যদি বাইরের দেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করা হয় সে ক্ষেত্রে দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কীভাবে পূরণ হবে?
আজ এক বিবৃতিতে জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রক এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। যদিও স্বাস্থ্য সচিবের এই বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তিনি ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক সংস্থার ওপর ছেড়ে দেন।
এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক সংস্থা এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে তারা একত্রে জোট বেঁধে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপের যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করবে। ওই যৌথ বিবৃতিতে দাবি করা হয় ভ্যাকসিন বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সম্পত্তি, তাই তাকে কোনো নির্দিষ্ট দেশের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা ঠিক হবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতির এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী এই দুই সংস্থার যৌথ বিবৃতির পরেই যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন ভ্যাকসিন রপ্তানি হওয়া শুরু হলে দেশেতে পর্যাপ্ত যোগান পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের ভ্যাকসিন পেতে একদিকে যেমন অনেক সময় লেগে যাবে, তেমনি তার দামও সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’দিন আগেই যে আশার আলো দেখা গিয়েছিল তা আবার নিভে যাবে!
আরও পড়ুন
ট্রাম্প সমর্থনকারী গোষ্ঠী প্রাউড বয়েজের প্রধান এনরিক তারিওকে গ্রেপ্তার করল এফবিআই, জেনে নিন কে তিনি
গত শনিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া যখন এই দুই সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তার পর সিরামের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয় তারা আগে দেশের মানুষের ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাবেন, তারপর বিদেশে রপ্তানির কথা ভাববেন। কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই তারা সেই অবস্থান থেকে সরে আসল।