শীতলকুচি কান্ডের তদন্ত অবশেষে হাতে নিল সিআইডি। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ঠিক কি ছিল তা সিআইডি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ মে’র মধ্যে সিআইডির কাছ থেকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে ওইদিনের ঘটনার যাবতীয় ভিডিও ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।
চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন গ্রামবাসী মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন নিজেদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্পূর্ণ ক্লিনচিট দিয়ে জানিয়েছে গ্রামবাসীদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল। যদিও স্থানীয় সূত্রে যে সমস্ত তথ্য উঠে আসছে তাতে নির্বাচন কমিশনের বিবৃতির সঙ্গে কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় তুলে সিআইডি তদন্তের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন
WB Election 2021: রাজ্য পরিকল্পিতভাবে করোনা ছড়াচ্ছে বিজেপি অভিযোগ মমতার
কলকাতা হাইকোর্টে শীতলকুচি কাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে একজন আইনজীবী এবং একটি শিক্ষক সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার হাইকোর্ট আগামী ৫ মে’র মধ্যে সিআইডির কাছ থেকে শীতলকুচি কান্ডের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছে। সেইসঙ্গে ঐদিন ঠিক কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল এবং গ্রামবাসীরা কতটা মারমুখী হয়ে উঠেছিল তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের যাবতীয় ভিডিও ফুটেজ তলব করেছে আদালত।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট এবং বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিকে ঘিরে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সিআইডি তদন্তের ফলে সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটতে পারে। যদিও শেষ পর্যন্ত শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে আদালত চূড়ান্ত কি রায় দেয় তা জানতে এখনও অনেকটাই বাকি আছে।