নদীয়া জেলায় ভোট প্রচারে এসে আবারও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব হলেন অমিত শাহ। গত বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিজেপির পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে সরাসরি অমিত শাহ’কে অনুপ্রবেশ ঘটার জন্য দায়ী করেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল সীমান্তে নিরাপত্তার যাবতীয় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফের। ওই মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহ নিজের ব্যর্থতা অস্বীকার করতে পারেন না। ঠিক তার পরের দিনই ভোট প্রচারে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পাল্টা তৃণমূলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার অভিযোগ রাজ্যে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদের মধ্যে বিভাজন আছে। তার অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। তাদের ভোটেই সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে নিজের দলকে ক্লিনচিট দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি কখনও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে না।”
আরও পড়ুন
WB Election 2021: ৫ মে’র মধ্যে শীতলকুচি কান্ডের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
কাটমানি ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানান। ভোটের ফল প্রকাশের দিন অর্থাৎ ২ মে থেকে রাজ্যের কেউই আর কাটমানি নেওয়ার সাহস দেখাতে পারবে না। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগোড়ায় তুলে তিনি বলেন, “দিদি শুধুমাত্র নিজের ভাইপোর কল্যাণ করেছে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে নদীয়া জেলায় মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে সরব হয়ে বিভাজনের তাস খেলেছেন অমিত শাহ। সেইসঙ্গে তারা বাংলার ক্ষমতা দখল করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে তা বোঝাতে গিয়ে এই কাঠমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।