আবার বিজেপির অডিও টেপে বিদ্ধ মমতা। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে বিপাকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এবার নিজেরই দলের জেলা সভাপতি সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিজেপির রোষানলে পড়লেন তিনি। তবে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠছে গেরুয়া শিবির বেআইনিভাবে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে আড়ি পেতেছে। শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে যে অডিও ক্লিপিং ভাইরাল করা হয়েছে তাতে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে কথা বলছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী তথা ওই জেলার দলীয় সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যদিও এই অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি ‘ভিন্ন সময়’।
এই অডিও টেপ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন মৃতদেহ নিয়ে যে রাজনীতি করেছেন সেই ঘটনারই প্রমাণ আছে অডিও টেপে। তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ডেড বডিগুলো আজ যেন বাড়ির লোকেরা না নেয়। কাল ডেড বডিগুলো নিয়ে র্যালি করব।” গেরুয়া শিবিরের দাবি তৃণমূল নেত্রী শীতলকুচি কাণ্ডে মৃত দলীয় সমর্থকদের দেহ নিয়ে রাজনীতি করে ভোটের ময়দানে ফায়দা তুলতে চাইছেন।
আরও পড়ুন
WB Election 2021: প্রথম চার দফার ভোটে বিজেপি ৯৬ টি আসন পাবে দাবি অমিত শাহের
সেইসঙ্গে বিজেপি অভিযোগ করেছে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে দলীয় সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার ও স্থানীয় আইসিকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মমতা। অডিও টেপের এক জায়গায় তৃণমূল নেত্রীর মুখে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভালো করে এফআইআর করতে হবে যাতে সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট, এসপি, আইসি সবকটাকে ফাঁসানো যায়।”
বিজেপির এই অডিও টেপ নির্বাচনী ময়দানে খুব বিশাল প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিকতা সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন তোলা যায়। উল্টে অনেক বেশি বিপাকে পড়ে যেতে পারে গেরুয়া শিবির। কারণ এই অডিও টেপ কিভাবে ফাঁস হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দলনেত্রীর মোবাইলে আড়িপেতে গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় উল্টে বিপাকে পড়বে বিজেপি নেতৃত্ব।