বরানগরে পার্নো মিত্রর রোড শোতে হামলার ঘটনায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একসময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি চরমে ওঠে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ তাদের প্রার্থী পার্নো মিত্রকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে। লোক লাগিয়ে নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে তাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বরানগরের সতীশ সেন নগরে পঞ্চম দফার ভোটের আগে প্রচারের শেষ দিনে রোড শো করছিলেন বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র। তাদের অভিযোগ সেই সময় একদল তৃণমূল কর্মী গাড়িতে উঠে সরাসরি পার্নো মিত্রকে মারার চেষ্টা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নয় এলাকা। দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে হতে হঠাৎই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ উঠছে প্রার্থী পার্নো মিত্রর উস্কানিতেই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে ছিল কর্মীরা।
আরও পড়ুন
আম্বেদকরের জন্মদিনের দিন নিজেদেরকে দলিত দরদী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা বিজেপির
প্রচারে তৃণমূলের হামলা প্রসঙ্গে পার্নো মিত্র বলেন, “আমার গাড়িতে উঠে আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। গত দশ দিন ধরে একের পর এক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। আমাদের কর্মীরা সেই ফাঁদে পা দেয়নি। তৃণমূল মহিলা কর্মীদের এগিয়ে দিয়ে এই রকম ঘটনা ঘটাচ্ছে।” পাল্টা বরানগরের তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায় যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার দায় বিজেপির ওপরেই চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, “বরানগরে অশান্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই আমাদের। মিথ্যে কথা বলছেন বিজেপি প্রার্থী। উনি নাটক জগতের মানুষ নাটক করছেন! বিজেপি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার চেষ্টা করছে, তবুও আমাদের কর্মীসমর্থকরা কিছু করেনি। আমরা ধৈর্যের শেষ সীমায় এসে দাঁড়িয়ে আছি।”
বরানগরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়নি গেরুয়া শিবির। যদিও বরানগরের স্থানীয় রাজনীতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল একাংশের ধারণা তৃণমূলের অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এই ঘটনা বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেরও ফল হতে পারে। তবে গোটা পরিস্থিতি সামলাতে না পারার জন্য পুলিশের ব্যর্থতার দিকেই বারবার আঙুল উঠছে।