পাহাড়ের খাদের ধারে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা বা সঙ্কীর্ণ রাস্তা ধরে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে যাওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ আছে। যেমন অনেক জায়গায় নিচের গভীর গিরিখাতের উপর দিয়ে রোপয়ে করে চলে গেলে গোটা শরীরে অদ্ভুত শিহরণ জেগে ওঠে। এতে আতঙ্ক আছে, আবার আনন্দও আছে। আর এই দুই অনুভূতি একত্রে মিশে গিয়ে এক বিচিত্র অবস্থা তৈরি করে। কিন্তু এই বিচিত্র অবস্থার হাতছানি যে সবসময় সুখকর হয় না তা ভালোমতোই টের পেয়েছেন রাশিয়ার সুলাক গিরিখাতের উপর অবস্থিত দোলনায় দোল খাওয়া দুই মহিলা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ৬,৩০০ ফুট উপর থেকে পড়ে গিয়েও তারা বেঁচে গিয়েছেন।
বাংলা একটা খুব প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘রাখে হরি মারে কে’! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাবে স্বয়ং ওপরওয়ালা বোধহয় তাদের ওপর সহায় হয়েছিল বলেই ওই দুই মহিলা বেঁচে যেতে পেরেছেন! রাশিয়ার দাগেস্তান প্রদেশের সুলাক গিরিখাতের উপর বেশ ভালো মত পর্যটক সমাবেশ ঘটে। সেখানে পর্যটকদের রোমাঞ্চ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে এক ব্যক্তি দোলনায় চড়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুরোপুরি গিরিখাতের প্রান্ত দেশে অবস্থিত একটি লোহার খুঁটির সঙ্গে চেন দিয়ে একটা কাঠের পাটাতন আটকে দোলনা তৈরি হয়েছে। ওই দোলনায় ওই দুই মহিলা গিয়ে বসার পর দোলনাওয়ালা হাত দিয়ে ঠেলে তাদের দোল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। ঠিক যেমন আমাদের বাড়িতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন
সাত দশক আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখির দেখা মিলল সিঙ্গাপুরে
এরপরই আসে সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত হঠাৎ করেই দোলনাটা পাশের লোহার খুঁটিতে একটু ধাক্কা লেগে বেঁকে যেতেই ওর ওপর বসে থাকা দুই মহিলা একেবারে গিরিখাতের প্রান্তদেশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যান। যার উচ্চতা ৬,৩০০ ফুট! সকলেই প্রায় ধরে নিয়েছিলেন যে তাদের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায় ওই দুই মহিলা অতি সামান্য আঘাত পেলেও তারা দিব্যি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
Moment two women fell off a 6000-Ft cliff swing over the Sulak Canyon in Dagestan, Russia.
Both women landed on a narrow decking platform under the edge of the cliff & miraculously survived with minor scratches.
Police have launched an investigation. pic.twitter.com/oIO9Cfk0Bx— UncleRandom (@Random_Uncle_UK) July 14, 2021
এই ভিডিও নেট মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তা দেখে নড়েচড়ে বসে দাগেস্তান প্রশাসন। তারা গিরিখাতের ওপর ওই দোলনা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেখানে নিরাপত্তা বিধির কোনও বালাই ছিল না বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।