বামেদের পথে হাঁটতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতিতে শেষ তিন দফার ভোটের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে বামেদের গৃহীত সিদ্ধান্তের অজস্র মিল দেখা যাচ্ছে। যদিও আট দফাতেই বাংলার ভোট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তারা যে অনেকটাই গাছাড়া দিয়ে উঠেছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে।
নির্বাচন কমিশন শেষের তিন দফার ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির বড়ো সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। উল্টে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারে জোর দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য বামেদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেষ তিন দফার ভোটে তারা বড়ো কোনও সমাবেশ বা রোড শো করবে না। বরং ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন
IPL 2021: দিল্লি রাজস্থানের ম্যাচে হলো ১২টি রেকর্ড, এনার নামে যোগ হল লজ্জাজনক রেকর্ডে
আপাতত যা দেখা যাচ্ছে তাতে রাজ্য বামফ্রন্টের করোনা মোকাবিলায় ইতিবাচক পদক্ষেপের পর নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হল নির্বাচন কমিশন। তারা সুনির্দিষ্টভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়েছে ডিজিটাল প্লাটফর্ম, স্থানীয় কেবল চ্যানেল এবং ইউটিউবে স্লট কিনে ভোট প্রচার চালানো হোক। সেই সঙ্গে মাঠে ময়দানে প্রচারের ওপর একেবারে বিধিনিষেধ আরোপ না করলেও জমায়েত কমানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। তারা সম্ভবত নতুন নির্দেশিকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থী সহ ৫-৬ জনের বেশি ব্যক্তির যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
নির্বাচন কমিশনের এই নতুন নির্দেশিকাগুলি চূড়ান্ত হলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু সভা সমাবেশ বাতিল হয়ে যাবে। যদিও ডিজিটাল মাধ্যমে তারা প্রচারে ঝড় তুলতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই যেন যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন
করোনার জেরে বাকি ৪ দফা ভোটের দিশা ঠিক করতে আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক নির্বাচন কমিশনের
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সর্বদলীয় বৈঠক পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিব এবং এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) কে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনমানসে রাজনৈতিক দলগুলির সভা-সমাবেশ নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য প্রয়োজনে ভোট স্থগিত রাখা হোক, কারণ মানুষের প্রাণ আগে। তাই শেষ তিন দফার ভোটে ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচারের মুখোমুখি হতে পারে বাংলার মানুষ।